বিএনপি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার নির্বাচন আয়োজন করে না, করে নির্বাচন কমিশন। সরকার ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করে এবং তফসিল ঘোষণার পর কার্যত রুটিন দায়িত্ব ছাড়া সরকারের হাতে কোনো ক্ষমতা থাকে না। নির্বাচন আয়োজক সংস্থা নির্বাচন কমিশন সংলাপে ডাকলে আমরা যাবো। আর এর বাইরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ হতে পারে। বিএনপি ‘সন্ত্রাসী দল’, ‘জনগণের প্রতিপক্ষ’। কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও বনানী কবরস্থানে জাতীয় ৪ নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর বনানীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কীসের রাজনৈতিক দল, এই সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের জন্য দায়ী বিএনপি এখন একটা সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়া আর কিছু নয় ও তারা এখন গুহার ভেতরে ঢুকে সেখান থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে কর্মসূচি দিচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ৩ নভেম্বরের খুনের সঙ্গে জিয়া ও তার খুনিচক্র যুক্ত। এ জন্যই বিএনপি জেলহত্যা দিবসে শোক প্রকাশ করে না। আর এখন হরতাল-অবরোধ ডেকে তারা যে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য।

তিনি আরো বলেন, ‘তারা আজীবন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন, মরণেও তারা সহযাত্রী হয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বেঈমানি করেননি, শত প্রলোভনেও আদর্শ বিচ্যুত হননি। আদর্শের জন্য, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা শিখিয়েছেন জাতীয় ৪ নেতা। বিএনপি ২৮ অক্টোবর যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, সারা বিশ্ব থেকে সেটির প্রতিবাদ এসেছে। এরপর আবার তিনদিন অবরোধ ডেকে তারা সাধারণ জনগণের ওপর, তাদের গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা পরিচালনা করছে। চোর-ডাকাতেরাও চুরি কিংবা ডাকাতি করে, কিন্তু জীবন্ত মানুষ ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ায় না।